শনিবার, আগস্ট ১৬, ২০২৫

আনোয়ারায় মসজিদের ভিতরে আগুন

আপডেট:

আনোয়ারা প্রতিনিধি,
আনোয়ারা উপজেলায় বারশত ইউনিয়নে মসজিদের নাম নিয়ে কেন্দ্র করে একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল রবিবার (০৯) ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় আনোয়ারা উপজেলা বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া (ওয়াহেদ পাড়া গ্রামের) মরহুম হাজ্বী আশরাফ আলী জামে মসজিদে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

মসজিদে মুসল্লি না থাকায় কেউ হতাহত না হলেও জামে মসজিদের ভেতরে থাকা কিছু পবিত্র কোরআন শরিফ ও নামাজের কাতারে বসানো কিছু কার্পেট পুড়ে গেছে।এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।

খবর পেয়ে আনোয়ারা থানার একটি পুলিশের টিম ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেন।পরে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ওয়াহেদ পাড়া মরহুম হাজ্বী আশরাফ আলী জামে মসজিদের নামকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।মরহুম হাজ্বী আশরাফ আলী তালুকদার জামে মসজিদের নামে নামকরণ থাকায় মসজিদের বর্তমান মোতোওয়াল্লী আলী আহমদ তালুকদারের পুত্র মোঃ জাকের হোসেনদের সাথে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে আসছিল বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।তাদের মধ্যে কিছুদিন আগে এই বিরোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদের কাছে কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছিল,তার মধ্যে বর্তমান মসজিদের মোতোওয়াল্লী জাকেরের সাথে লাল মিয়ার পুত্র মোঃ কাসেম ও মোঃ বাবুল হকের পুত্র সাগরের নেতৃত্বে একটি বিরুধী পক্ষ সৃষ্টি হয়।

মোঃ জাকের ও মো. নেজাম তাদের দাদার নামে আশরাফ আলী তালুকদার জামে মসজিদ নাম করণ করে সাইন বোর্ড দিলে কাশেমের পক্ষের লোকদের সাথে আরো বিরোধ সৃস্টি হয় এবং মসজিদে আগুনের ঘটনা ঘটলে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়।

মসজিদের ইমাম মো.নেজাম উদ্দিন (৩০) বলেন, গতকাল ফজরের নামাজ পড়ে আমি সকাল সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত মসজিদে ছিলাম। পরে সকাল ৯.৩০ টায় এলাকার লোকজন মসজিদে আগুন দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত এসে আগুন নিবিয়ে দিয়।তার আগে মসজিদের বেশ কয়েকটি কোরআন শরীফ সহ কাতারে বিছানো কার্পেট আগুনে পুড়ে যায়।

মসজিদের বর্তমান মোতাওয়াল্লি মোঃ জাকের জানান, আমরা কাগজ পত্রে এই মসজিদের মোতাওয়াল্লি হিসেবে অনেকদিন যাবত আছি।

প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনিয় দলিল পত্র জমা দিয়েছি তারমধ্যে গতকাল সকাল ৯.৩০ টার দিকে মসজিদে ভেতর অগ্নিসংযোগ করেছে বলে খবর পেলে মসজিদের ইমাম আগুন জ্বলতে দেখে সবাইকে খবর দেন,তখনি স্থানীয়রা সবাই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন তিনি ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন এবং দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসন এর প্রতি আহবান জানান।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, মসজিদের নামকরণ নিয়ে দু”পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।পূর্বে এ মসজিদের নাম ছিল আশরাফ আলী তালুকদার জামে মসজিদ।তিনি আরো ববলেন এলাকাবাসী মসজিদের আশপাশে আরো কিছু জমি এলাকার ব্যক্তিবর্গ দান করেন।

তখন থেকে মসজিটি ওয়াহেদ পাড়া মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।আগুনের খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মসজিদের ইমাম বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে। অগ্নিকান্ডের বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত