সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

অবশেষে শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ভাসানচরে বসবাস করতে ইচ্ছা প্রকাশ

আপডেট:

চট্টগ্রাম ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দ্বীপ নোয়াখালীর ভাসানচরে বসবাস করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

বন্যার ঝুঁকির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এই দ্বীপে বার্মা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজার উখিয়া তে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য সরকারি ভাবে ঘর তৈরি করে রাখা হয়েছে। ওই তৈরি করে রাখা ঘরে রোহিঙ্গা দের কে বসবাসের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলেও এতদিন একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা নানান অজুহাত দাঁড় করিয়ে ওই এলাকায় যেতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা সরকারি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে চলে যেতে রাজি হয়েছেন বলে রোববার বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সরকার প্রথমে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে পাঠাতে চায়। সীমান্তের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অতিরিক্ত রোহিঙ্গার চাপ কমিয়ে আনতে সরকারের এই উদ্যোগক। কক্সবাজার উখিয়ায় বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কক্সবাজারের এই শরণার্থী শিবিরে আগে থেকেই দুই লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।

বাংলাদেশের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মাহবুব আল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম তদারককারী কর্মকর্তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভাসান চরে যাবেন। ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভাসান চরে স্থানান্তরে ছয় থেকে সাত হাজার রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। অন্যদিকে ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হতে পারে। দিনে গড়ে ৫০০ শরণার্থীকে পাঠানো হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত