পটিয়া প্রতিনিধি:
“সাম্প্রদায়িকতার দৈত্য দানব কে ঠেকাতে পারলেই ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমের মেলবন্ধন সুষমা ছড়াবে । নতুবা প্রকট হবে সংঘাত শত্রুতা ও হিস্যা বিরোধ । প্রীতিময়তা ও সার্বজনীনতায় ঐক্য ও শান্তির পথ আনবে।”-পশ্চিম বঙ্গের কবি সুলেখা সরকারের সম্মাননায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেছেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ জাতীয় সংগঠন ‘বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই বাড়ছে ধর্মদানব। ধর্মের অপরিণামদর্শী বিভাজন সীমান্তের কাঁটাতারের পাশাপাশি অনেকের মনে রোপন করেছে বিভেদের কাঁটা। অথচ ধর্ম শান্তি ও সৃষ্টির পথ নির্দেশ করে। রাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বমানব হয়ে উঠতে পারাটাই এখন সময়ের দাবি। ‘
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মননশীলতার বিকাশে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও মন্তব করেছেন এই পেশাজীবী নেতা ।
অনুষ্ঠানের সংবর্ধনার জবাবে কবি সুলেখা সরকার বলেন- আদিবাস হিসেবেই শুধু নয়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও আতিথেয়তা তাঁকে টানে।
সুলেখাকে নিয়ে মনোমুগ্ধ আয়োজনটি হয় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গণমাধ্যম পাড়া চেরাগী পাহাড়ের সুপ্রভাত বাংলাদেশ স্টুডিও হলে । এতে সংগীত, আবৃত্তি, কাব্যকথা, সম্মাননা, আলোচনাসহ ছিল নানান আয়োজন। আয়োজক সংগঠন ‘দ্বী-বাংলা সাহিত্য ও সংষ্কৃতিক একাডেমী বাংলাদেশ’ এর পরিচালক ইমরান সোহেলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি কোলকাতার বিশিষ্ট কবি ও বাচিক শিল্পী সুলেখা সরকার।
“নবান্নের আলোকধারা” শিরোনামে আয়োজিত বিকেল ০৫ টায় বাচিকশিল্পী কায়েস চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের সাবেক যুগ্ম পরিচালক গেরিলা যোদ্ধা ফজল আহমদ, সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক আলী আহমেদ শাহীন, নাট্যজন ও সংগঠক সজল চৌধুরী, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্স লি: জিএম এম এ সবুর, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাতকানিয়া পৌরসভা শাখা সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম ফরহাদ, লেখক ও সংস্কৃতি সংগঠক আবদুল্লাহ মজুমদার, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশন সভাপতি ও লেখক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কলামিষ্ট, প্রাবন্ধিক ও মরমী গবেষক লায়ন ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই, মানবাধিকার কর্মী আযম খান , শিক্ষাবীদ বাবুল কান্তি দাশ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি তাপস চক্রবর্তী, শিল্পী জাবেদ পারভেজ, স ম জিয়াউর রহমান, জসীমুল হক, সাফাত বিন সানাউল্লাহ, ওচমান জাহানঙ্গীর, কবি সজল দাশ, সায়েম উদ্দিন, খালেদ বিন মুর্শেদ, নাছির হোছাইন জীবন, নুরুল হুদা, হানিফ চৌধুরী, সমীরণ পাল প্রমূখ।