টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের হাতে মোবাইল ফোন ও সিম ব্যবহারের খবর অনেক পুরনো। তারা কিভাবে বাংলাদেশের সিম কার্ড পাই তা নিয়ে রয়েছে নানারকম প্রশ্ন। কেউ মনে করেন এইখানকার স্থানীয়দের মাধ্যমে আইডি কার্ড দিয়ে রোহিঙ্গারা সিম কার্ড পাই। আবার কেউ মনে করেন সিম কোম্পানি গুলো রোহিঙ্গাদের সিম কার্ড পাওয়ার জন্য সাহায্য করছে।
বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সিম নিয়ন্ত্রনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।যে মোবাইল কোম্পানী রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে সিম সরবরাহ করেছে ঐ কোম্পানীর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই কথা বলা হয়। অবৈধ মোবাইল সিম ব্যবহারের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রন করছে ইয়াবা ব্যবসা এছাড়াও অপহরন, খুন, জখম যেকোন ঘটনার পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অবৈধ সিম ও মোবাইলের মাধ্যমে তাই এসব অবৈধ সিম যেকোন উপায়ে উদ্ধার করতে হবে।রোহিঙ্গা আশ্রয়ের সুযোগে স্থানীয় কিছু কিছু যানবাহন যেমন: সিএনজি, টমটম যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। নির্ধারিত ভাড়ার বাহিরে যদি কোন পরিবহন সংস্থা বা যানবাহন চালক অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গারা এখানে আশ্রয় নিয়ে রীতিমত বিভিন্ন রকমের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইয়াবা। ইয়াবা, স্বর্ণের দোকান, ফার্মেসী, কাপড়ের দোকানসহ রকমারি ব্যবসা বানিজ্যের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা নিজেরাই সাবলম্বি হয়েছে। ফলে তারা আর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে তারা ক্যাম্প ত্যাগ করে বিলাস বহুল জীবন যাপনের জন্য ক্যাম্প ত্যাগ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে পালিয়ে যাচ্ছে। অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের কোন ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না, যেহেতু তাদের এনজিও সংস্থা ও সরকার নিয়মিত ত্রান সামগ্রী বিতরন করছেন। তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল্যতার কারনে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।