সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

রবিবার থেকে কলেরা ক্যাম্পেইন

আপডেট:

টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রায় লাখ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে কলেরার টিকা।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পেইন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই টিকা খাওয়ানো হবে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশে আগত ১ বছরের বেশি বয়সের রোহিঙ্গাদের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া স্থানীয় ১ বছরের বেশি বয়সীদের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে বলে সূত্রে জানা গেছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম জানান, কলেরা খাদ্য ও পানিবাহিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এই জীবাণু‚ পরিবেশে ছড়ায় এবং খাবার ও পানিতে ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

রোগাক্রান্তরা অল্প সময়ে ডায়রিয়ার কারণে তীব্র পানি শুণ্যতায় আক্রান্ত হয়। সময়মত চিকিৎসা না পেলে এই রোগে আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুবরণ করে। রোহিঙ্গারা এই দেশে আসার পর উখিয়া ও টেকনাফে জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ইতিমধ্যে হাম-রুবেলা, ডিপথেরিয়া, ধনুস্টংকার, কলেরাসহ বিভিন্ন রোগের টিকা দেয়া হয়েছে।

এবার সরকার পুনরায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য কলেরা টিকা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে রবিবার থেকে কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতি ৩০০-৬০০ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে একটি টিম কাজ করবে এবং প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে এই টিকা খাওয়ানো হবে।

এছাড়া টেকনাফে ১ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা ও ৯৪ হাজার ৫৬৫ জন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী এ টিকা কর্মসূচির আওতায় আসবে। সূত্রে জানা গেছে এই বছর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে টেকনাফ ও হ্নীলায় কলেরা রোগী বেশি সনাক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত