চাইথোয়াইমং মারমা, স্টাফ রির্পোটার: রাংগামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বাংগালহালিয়া ইউনিয়নের একমাত্র ঐতিহ্য চৌ রাস্তা মোর সংযোগস্থল হাট বাজার বাংগালহালিয়া। ৩০ ইং তারিখ সকাল ১০ টায় সরেজমিনে বাজার ঘুরে এসে দেখা যায়,আজকে মারমাদের তথা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ওয়াগ্যাই পোওয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে যাক জমটভাবে বিভিন্ন শাকসবজি খোলা বাজারে বিক্রি পাহাড়ের বসবাসরত নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় অন্যতম মারমা নারীরা এগিয়ে আছে।
পাহাড়ের দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম হতে মারমা নারীরা বেঁতের তৈরি ঝুড়ি বা (থুরুং) তে শাকসবজি বহন করে পরফ ও ওয়াগ্যাই পোওয়ে উপল ক্ষে বেশি দামে বিক্রি করতে পাব আশা করে মারমা নারীরা ফল ফুল মূল বিক্রি করতে দেখা যায়। আগামীকাল ১ অক্টোবর ২০২০ বৌদ্ধ ধর্মের প্রবারণা ৩মাস মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষাবাস শেষ হবে। এবং সকলে নারী ও পুরুষ যুবক যুবতীরা দায়ক দায়িকাসহমিলে সকাল বেলায় বিহারে গিয়ে বুদ্ধ কাছে ছোয়াইং পূঁজা করবে এবং বিহার ভিক্ষু কাছে ছোয়াইং দেয়া হবে। এতে বিকাল বেলায় বা সন্ধ্যা সময় নারী ও পুরুষ ছোট শিশুরাসহ সকলে মিলে পঞ্চাশীল, অস্টশীল, মোমবাতি জ্বালিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে প্রার্থণা করা হবে। এই ওয়াগ্যাই মারমাদের ৩মাস বর্ষাবাস পালন করে থাকে বিহারে প্রধান ভিক্ষু সহ অন্যান্য ভান্তে রা কোন জায়গা গিয়ে রাত কাটাতে হতে বিরত থাকা লাগে। এতে সাধারণ দায়ক ও দায়িকারা ৩মাস মাছ মংস সহ বিভিন্ন পান হতে বিরত থাকতে দেখা যায়। মারমা সম্প্রদায় রা বৌদ্ধ ধর্মের নিয়ম নীতি মেনে ও পালন করছে। সকলে গৌতম বুদ্ধের প্রতি ভক্ত বিশ্বাসী। তাই বাজারে শাকসবজি বিক্রি করতে আসা মারমা নারী নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক সাংবাদিককে জানান,আমরা প্রতি বছর মারমা ওয়াগ্যাই পোওয়ে উপল ক্ষে পাহাড়ের উৎপাদিত বিভিন্ন কাঁচা শাকসবজি বিক্রি করে থাকি সে বিক্রি টাকা পেয়ে আগামীকাল পরিবারবর্গ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় কিনা কাটা করে নতুন পোষাক পড়ে ছোট বড় সবাই বিহারে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের ছোয়াইংসহ ভান্তে কাছে কিছুটা হলে দান করতে পারব। তাই গৌতম বুদ্ধের বাণী দান শীল ভাবনা মানেই অপরীসীম। আজকে বাজারে বৌদ্ধ ধর্মের ল ম্বী দের নারী পুরুষ বিভিন্ন প্রান্তে থেকে কাঁচা বাজার কিনতে ভীর সমাগম দেখা যায়। নিত্য পণ্য মুটামুটি স্বাভাবিক দামে বিক্রি করছে। যা সকলে ন্যায্য মূল্যে কিনার মত সমমান মিলছে। উল্লেখ্য, আগামী স ন্ধ ্যা বেলায় এই ওয়াগ্যাই পোওয়ে প্রবারণা উপলক্ষে দিনে মারমা সম্প্রদায় রা ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুযায়ী ফানুষ উড়ানো হয়। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সব্বে স ত্তা সুখীতা হোন্ত জগতে সকল প্রাণী সুখী হউক।