মু. সাজ্জাদ হোছাইন চৌধুরী,
আমরা যদি পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করি তাহলে কি দেখতে পাই? চারদিকে দূষণ আর দূষণ!বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী কী ক্ষতি হচ্ছে।
বাংলাদেশেও দূষণের হার অনেক বেশি ! আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে কয়েকগুণ! বিশ্ব যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসছে, সেখানে বাংলাদেশ কেন ব্যাপকভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্ভর হয়ে যাচ্ছে!
অথচ কয়লাভিত্তিক জ্বালানি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কয়লার পোড়ানো ধোয়া অথবা ছায় যদি বাতাসে মিশে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে ফুসফুসে ক্যান্সার ও আরও ভয়ানক রোগ সৃষ্টি হতে পারে, এবং পশুপাখি ও পরিবেশর মারাত্মক ক্ষতি হবে।যে সব দেশ বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইনভেস্ট করছে তারা কিন্তু নিজেদের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে এসেছে।
২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসা সরকারের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রাকৃতিক সম্পদ (কয়লা,গ্যাস,তেল ইত্যাদি) এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে অনেক মানুষের দীর্ঘ সময়ব্যাপী ভালো কিছু নিশ্চিত করতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, সম্পদ অসীম নয় সসীম, তাই সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। সরকারের উচিৎ নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি, পানিশক্তি এবং জৈব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মনোযোগী হওয়া।এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।
পাশাপাশি মাতারবাড়ি, রূপপুর ও অন্যান্য কয়লা এবং পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে কোনো উন্নয়ন চলতে পারেনা। এটি সম্পূর্ণ মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন।
আমাদের দেশের বনভূমি, বিভিন্ন খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সকল সাধারণ মানুষদের সচেতন হতে হবে,এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।আসুন আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যদের সচেতন করি। এতে করে গড়ে তুলি আগামী প্রজন্মের এক বাসযোগ্য পৃথিবী।