এমএ সাত্তার,
পিএমখালীতে উন্নয়ন নেই ছনখোলা বাজার হইতে কক্সবাজার যাওয়ার সংযোগ সড়কের। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ওই সড়কটির উন্নয়ন থেমে গেছে। এতে করে সদর উপজেলার বাঁকখালী উপকূলবর্তী কক্সবাজার টাউনের নিকটবর্তী অন্যতম পিএমখালী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই সড়কটি উন্নয়ন সংষ্কার কাজ করেছিল।
সংযোগ রাস্তাটি পিএমখালীর চেরাংঘর বাজার থেকে ছনখোলা বাজার হয়ে (পশ্চিম) খুরুশকুলে খুলিয়া পাড়া মাঝের ঘাট ব্রিজ সংশ্লিষ্ট কক্সবাজার টাউনে মিশেছে।
গত ১৫/১৬ বছর আগে এই সংযোগ সড়কটি সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন করে বর্তমান পিএমখালীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম। সে সময় সড়কটি আংশিক ব্রীক সলিনের আওতায় উন্নয়ন করা হয়েছিল। তবে কালের পরিক্রমায় জনগুরুত্বপূর্ন ওই সড়কটি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত। বিছানো ইট ভেঙে সরে গিয়েছে অনেক আগে। এখন মাটিও সরে যাচ্ছে। খুব জরুরী না হলে, এ সড়কে গাড়ি আনেন না চালকরা। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
এই করুণ দশা সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা সংযোগ সড়কের।সরেজমিনে দেখা গেছে কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ভারি যানবাহন চলাচল করছে। পুরো রাস্তা ছোট বড় গর্তে ভরা। এ নাজুক সড়কটিতে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ছেন অনেকেই।এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংযোগ সড়ক দিয়ে খুরুশকুলে ইউনিয়নের দক্ষিণ উত্তর পাশের হিন্দু পাড়া, রুহুল্লার ডেইলি, হাটখলা পাড়া, হামজার ডেইলি, গুচ্চগ্রাম,
পিএমখালী ইউনিয়নের এক তৃতীয়াংশসহ প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দিনদিন নাজুক হয়ে পড়েছে সড়কটি। এখন তো হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়ত, অসুস্থ রোগী, ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পিএমখালী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হামিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিবছর গ্রামবাসী মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার করে হালকা যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর থেকে খুব ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে।
পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে মানুষের চলাচলের উপায় থাকেনা। এখন সড়কের দুই পাশের মাটি ধসে পড়ছে। এতে এ সড়কের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এলাকাবাসীর চলাচলের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনায় সড়কটি সংস্কারের জন্য আমি সংশিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে আসছি।
স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এলজিইডি অফিসে অনেকবার লিখিত আবেদন দিয়েছেন। কিন্তু সড়কটি সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার বঞ্চিত থাকায় সড়কটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। তাই তিন কিলোমিটারের এ সড়কটি সংস্কারে বড় বরাদ্ধ প্রয়োজন।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, সংযোগ সড়ক সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই বরাদ্ধ আসতে পারে। বরাদ্ধ পেলে উক্ত সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হবে।