এম এ সাত্তার, কক্সবাজার:
“পরিবার পরিকল্পনায় সেবা গ্রহণ করি, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব বোধ করি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ হতে ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ১ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে উপ-পরিচালক ডাক্তার পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার। সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার মোঃ মহিউদ্দিন আলামগীর, সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের ও ডিস্ট্রিক কনসালটেন্টসহ অন্যান্য।
এসময় উক্ত ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
সেবা সপ্তাহের পরিকল্পনা পূর্বের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে ব্রিফিং করেন উপ-পরিচালক ডা: পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার বলেন, বাল্যবিবাহ, স্বাস্থ্য প্রজননসহ সর্ব বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো সময়ে
সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ রোধ কল্পে মোবাইল কোট অব্যাহত থাকবে। আইনের প্রয়োগ চলবে। দেশ থেকে মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু শহর কেন্দ্রিক এ ধরনের সভা করলে হবে না। তৃণমূল পর্যায়েও এ ধরনের সচেতনতামূলক সভা করতে হবে। দেশে দিন দিন যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে দেশ ভারসাম্য হারাবে।
ডাক্তার মহিউদ্দিন আলামগীর বলেন, ছোট পরিবার সুখী পরিবার। ছোট পরিবার হলে সুখ শান্তি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। আর পারিবারিক উন্নয়ন ঘটলে সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। তিনি পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে বসবাসকারীদের মধ্যে আরো সচেতনতা বাড়াতে মাঠকর্মীদের পরামর্শ দেন।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে ডাক্তার পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে পৃথিবীর মুখ দেখাতে সঠিক ও সুন্দর জীবন গঠনের জন্য নিরাপদ জন্মদানের কোন বিকল্প নেই। তাই গর্ভকালীন ও পরবর্তী সময়ে পরিবারের সদস্যদের মায়ের ও শিশুর যত্ন নিতে হবে। কারণ আগামীতে সুস্থ সন্তানরাই আমাদের দেশের কর্ণধার।