আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ
শনিবার, সকাল ৯টা। চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা খুলশী এক নম্বর সড়ক। সড়কটির প্রবেশ পথেই খুলশী থানা। জাকির হোসেন সড়কও চলে গেছে এই থানা ঘেঁষে। এ সড়কের পাশের ফুটপাতে জটলা পাকিয়েছে ২০-২৫ জনের খেটেখাওয়া দিনমজুর। বেলা বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। দুপুর ১২টা বাজতেই থানার আশপাশজুড়ে শতাধিক দিনমজুরের বিশাল জটলা। এত মানুষ, কেউই সরছে না। এতেই শুরু হয় খুলশী থানা পুলিশের মাথা ব্যথা।
শতাধিক মানুষের থানার সামনে অবস্থানের কারণ জেনে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ। কে যেন তাদের বলেছে, শনিবার সকাল থেকে খুলশী থানায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে; তাই তাদের এখানে অবস্থান নেওয়া। এই গুজবে থানার সামনে ছুটে আসা দিনমজুরদের সামলাতেই দিন কেটে যায় খুলশী থানা পুলিশের।জমিলা খাতুন (৬০) নামে আমবাগান বাস্তুহারা কলোনী থেকে আসা এক নারী বলেন, ‘আমাদের কলোনীতে খবর রটানো হয় খুলশী থানা চাল, ডাল দিবে। তাই আমরা এখানে সকাল থেকে এসে বসে আছি। পুলিশ আমাদের আশ^স্ত করেছে। তালিকা তৈরি করে ঘরে খাবার পৌঁছে দিবে।এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘কেউ গুজব রটিয়ে দিয়েছে থানা থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এ গুজবে কান দিয়ে সকাল ৯টা থেকেই হাজির হতে শুরু করে খেটেখাওয়া দিনমজুর। অথচ আমাদের এমন কোনো কর্মসূচি ছিল না। শতাধিক মানুষ থানার আশপাশে অপেক্ষা করেছে প্রায় দুপুর পর্যন্ত। তাদের আমরা বুঝিয়ে বিদায় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে কাউকে ত্রাণ দেওয়ার কোনো সুযোগ পুলিশের নেই। তালিকা তৈরি করে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী থানা এলাকায় হতদরিদ্র ও দিনমজুরদের ঘরে ঘরে দেওয়া হচ্ছে। একটি মহল যেকোন সংকটে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে তৎপর। এ বিষয়টি নিয়ে কারা গুজব ছড়াচ্ছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।