টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজারে শ্বাশুড় বাড়ির লোকজন জামাইকে প্রকাশ্য দিবালোকে কূপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
৫ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা আলী আকবর পাড়ায় শ্বাশুড় বাড়ি গিয়ে বসবাসরত রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (২২) কে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আনোয়ারের ভাই রশিদ উল্লাহ জানান- আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সুবিচার চায়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বশির আহমদ জানান- এলাকা হতে আনোয়ার নামে এক শিশুর জনকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানান, নিহতের শরীরের ছুরিকাঘাত এবং জখমের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিহত আনোয়ারের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সুত্র জানায়- নিহত আনোয়ার আলী আকবর পাড়ার সৌদি প্রবাসী মমতাজ মিয়ার মেয়ে হাসিনাকে বিয়ে করে। নিজ বাড়িতে জটিলতার কারণে বউকে নিয়ে গত ৬মাস পূর্ব হতে শ্বাশুড় বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে আসছে। শ্বাশুড় বাড়িতে প্রায় সময় তাদের ঝগড়া হত। গত রাত সাড়ে ১১টারদিকে প্রতিবেশীরা ঝগড়ার শব্দ শুনতে পায় বলে জানায়। কিন্তু কি কারণে এই ঝগড়া হত তা নিয়ে মুখ না খুললেও আনোয়ার নিহতের পর তার শ্বাশুড়ি সুরত নাহারের পরকীয়াসহ অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ে মুখরোচক হরেক রকম আলোচনা চলছে।