নাঈম আহমেদ কপিল,
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার সময় বিচিং করা উক্ত জাহাজ থেকে ১৭ নাবিক নিচে নেমে তিনটি মাইক্রো যোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রওয়ানা হয়। চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমানবন্দর থেকে বিমান যোগে তারা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হয়ে বাই রোডে নিজ দেশ চীনে চলে যাবেন বলে জানিয়েছে শিপ ব্রেকিং ইয়াড় কতৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে লালবাগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম আবদুল্লাহ বলেন, চীনের ১৭ নাবিক ৫ ধরে আমাদের জাহাজে ছিল, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি। ডাক্তারী পরিক্ষায় তাদের শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।সীতাকুণ্ডে স্ক্রাপ জাহাজে আটকে থাকা ১৭ নাবিক ফিরছে দেশে
তিনি বলেন, সরকারী নির্দেশনায় ১৭ চীনা নাবিককে তাদের এজেন্সীর মাধ্যমে বিমানের টিকেট দিলে আজ সকালে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়। আরো খবর : সীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজে আটকে আছে ১৭ চীনা নাবিক
উল্লেখ্য যে, গত ২০ জানুয়ারি চীনের উইফং বন্দর থেকে রওনা দিয়ে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আবুল কাসেম মোঃ আবদুল্লাহ ও হাজ্বি লিয়াকত আলীর মালিকানাধীন লালবাগ শিপ ইয়ার্ডে জাহাজটি কাটার জন্য রাখা হলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূলে একটি স্ক্র্যাপ জাহাজে (কাটার জন্য আনা জাহাজ) চার দিন ধরে অবস্থান করছেন ১৭ চীনা নাবিক। শনিবার বিকেলে সাগর উপকূলের সোনাইছড়ির লালবেগ শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কাটার জন্য রাখা হলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিককে নিচে নামতে দেওয়া হয়নি।
তবে এই ১৭ নাবিকের শরীরে কোনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেছেন জাহাজ আমদানিকারক এজেন্সি মালিক(বন্দর মেডিকেল এ গত ৫ই ফেবু্রুয়ারী একটি রিপোর্ট দেয়)
জাহাজ আমদানিকারক (এজেন্ট) প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ সৈকয়াতন করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের নিজের দেশে পাঠানো হয়। জাহাজের ল্যান্ডিং অনুমোদনের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা নাবিকদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে তারা দেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে।