চট্টগ্রামের যাত্রী ছাউনিগুলো দোকানে ঠাসা, চলছে পার্কিং বাণিজ্যও

সর্বশেষ
চট্টগ্রাম ট্রিবিউন

আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যাত্রী ছাউনিতে যাত্রী বসার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিয়ে সেখানে চলছে দোকানপাট ও পার্কিং বাণিজ্য। চার রাস্তার মোড়ে এ সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। তার ওপর ভিড়ের সুযোগে চলন্ত গাড়িতে যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাটের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে একটি যাত্রী ছাউনির ভেতরে চলছে দুই ব্যবসায়ীর ফলের দোকান ও কুলিং কর্নার। যাত্রী ছাউনির ভেতরে একপাশে আছে পুরনো মালামালের স্তুপ। এছাড়া ছাউনির বাইরে ভ্যানগাড়ি, টেম্পো ও পশ্চিম পাশে ঠেলাগাড়ির পার্কিং করা হয়েছে।পথচারীরা বললেন, যাত্রী বসার জায়গা নেই এখানে। পুলিশ-ট্রাফিককে মাসোহারা দিয়ে ফলের দোকানদার ব্যবসা করছে। কেউ খাবারের দোকান, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়ি রাখার স্থান বানিয়ে পার্কিং ব্যবসা করছে।
কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন— এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেওয়ানহাট মোড় ভিআইপি সড়কের দুই পাশে নিয়মিত গাড়ি চলাচল করে। মোড়ের পূর্ব দিক থেকে হালিশহর থেকে আসা টেম্পো ও হিউম্যান হলারগুলো এই মোড়ে থামে। এতে প্রতিদিনই তীব্র যানজট থাকে। লোকজনের এ ভিড়ের সুযোগে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাপটা মেরে ছিনতাই হয়। সন্ধ্যার পর ছিনতাইকারীদের উপদ্রব বেড়ে যায়।

যাত্রী ছাউনির ভেতরে চলছে দুই ব্যবসায়ীর ফলের দোকান ও কুলিং কর্নার।হালিশহর এলাকার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘গত মাসে আমরা দুই বন্ধু হালিশহর এইচ ব্লক থেকে টেম্পোতে মার্কেট যাওয়ার উদ্দেশে দেওয়ানহাটে যাই। তখন সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা। আমার বন্ধু মোবাইল ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে ঝাপটা দিয়ে তার মোবাইলটি নিয়ে যায়। এরকম ঘটনার কোন প্রতিকারও পাওয়া যায় না।

জানতে চাইলে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘দেওয়ানহাট মোড়ে ট্রাফিকের কোন সদস্য যাত্রী ছাউনির দখলদারদের কাছ কোন টাকা নেয়নি। অন্য কেউ নেয় কিনা সেটা তো আমি বলতে পারবো না। এ বিষয়টি সেখানকার টিআইকে বলে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।এই বিষয়ে ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা বলেন, ‘গত মাসের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। ৮ জানুয়ারি দেওয়ানহাট এলাকা থেকে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আগ্রাবাদ ও তার আশপাশের অবৈধ দখলে থাকা ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। দেওয়ানহাটের মোড়ে দখলের বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here