বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

গোসলে ঝুঁকিপূর্ণ কউকে’র তিন পুকুর, নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউ!

আপডেট:

সাজন বড়ুয়া সাজু:
কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী তিন পুকুর গোলদিঘি, লালদিঘি ও বাজারঘাটা নাপিতা পুকুর। দীর্ঘদিন চরম অবহেলায় অনেকটা দুষণ অবস্থায় পড়েছিলো। প্রথম প্রকল্প হিসেবে সংস্কার করে এই তিন পুকুরের উন্নয়নের উদ্যোগ নেয় কক্সববাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করে এই তিন পুকুরকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। আধুনিক অবকাঠামো ও সাজ-সজ্জায় নান্দনিক রূপ পেয়েছে পুকুরগুলো।

আগে পুকুরগুলো গোসলসহ দৈনন্দিন নানা কাজে ব্যবহার করতো জনসাধারণ। কিন্তু সংস্কারের পর পুকুরে নামতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তারই আলোকে পুকুরগুলোর চার পাশে টানানো হয়েছে নোটিশ আর মোতায়েন করা হয়েছে পাহারাদার।

বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে পুকুরগুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে মৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঝুঁকির কথাও বলেছেন।

কউক থেকে জানা হয়েছে, উন্নয়ন করার সময় তিনটি পুকুরই গভীর খনন করা হয়েছে। এর ফলে পুকুরে কেউ নামলে ঠাঁই পাওয়া সংকটে পড়বে। এতে দুর্ঘটনার চরম আশঙ্কা রয়েছে।
এই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় অভিজ্ঞ লোকজনও। তারা বলেছেন, অতীতে বিভিন্ন সময় পানিতে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

বাজারঘাটা নাপিতা পুকুরের আশেপাশের লোকজন বলছেন, এই পুকুরটিতে অলক্ষী ভর করে। সে কারনে অতীতে বিভিন্ন সময় সংঘঠিত দুর্ঘটনাকে অনেকটা জিন-ভূতের আঁচড় বলে মনে করতেন। সে কারণে অনেকে ভয়ে পুকুরে নামতো না। এখন অতি গভীর হওয়ায় ভয়টা আরো প্রকট হয়েছে।
সম্প্রতি মাহি নামে এক কলেজ ছাত্র বাজারঘাটা নাপিতা পুকুরে নির্দেশ অমান্য করে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় এবং পরবর্তী কয়েকঘন্টা পর লাশ খুঁজে পাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারি ও পাহাদার নিয়োগ করেও পুকুরে নামা আটকাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। পাহারাদাররা বলেছেন, নিষেধ করলেও তা মানে না। অনেক সময় পাহারাদারদের লাঞ্ছিত করে। নানা ধরণের হুমকি দেয়। পাহারা ব্যবস্থা দূর্বল হওয়ায় পুকুরে নামা ঠেকানো যাচ্ছে না।
টি অকপটে স্বীকার করেছে সেখানখার স্থানীয় বাসিন্দারাও।

তবে সুশীল সমাজ মনে করছে এই ৩ পুকুরের সৌন্দর্য এবং সুশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজন সবার সচেতন হওয়া এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে নির্দেশনা তা মেনে চলা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত