আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা ইপিজেড। শতাধিক পোশাক কারখানায় প্রতিদিন জীবনের তাগিদে কর্মে যোগ দেয় প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক। এছাড়াও এই ইপিজেড এলাকাতে বসবাস করে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে নগরীর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা এই ইপিজেড। তাইতো এই এলাকা ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় বড় মার্কেট ও ভবন। নাগরিক সুবিধার লক্ষ্যে গড়ে তোলা এ ভবনগুলো এখন দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। ভবনগুলোর নিজস্ব পার্কিং সুবিধা না থাকায় ভবনগুলোতে আগত গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে ফুটপাতে।
নগরীর ৩৮ নং ওয়ার্ডের ইপিজেড মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, মূল সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন। কিন্তু ভবনগুলোর পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এতে করে এসব ভবনে আগত গাড়ি মোটরসাইকেলগুলোর চালকরা গাড়ি রাখছে ফুটপাতে। ফুটপাত জুড়ে গাড়ি থাকায় পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সড়ক দিয়ে। কিন্তু পাশেই ট্রাফিক পুলিশের বক্স থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি তাদের।
রফিক নামে এক পোশাক শ্রমিক জানান, ‘প্রতিদিন মাইলের মাথা থেকে হেঁটে অফিসে যাতায়াত করি। সকালে আসার পথে ফুটপাত ক্লিয়ার পেলেও সন্ধ্যায় আর ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারি না। কারণ ফুটপাত তখন দোকান ও গাড়ির দখলে চলে যায়। সন্ধ্যায় বেশিরভাগ কারখানার ছুটি হয়। এসময় একসাথে হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে বের হয়। কাজের সুবিধার্থে বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিকরা এই এলাকাতেই বসবাস করে। তাই সবাই হেঁটেই বাসায় যায়। কিন্তু ফুটপাত দখলে থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। অন্তত ছুটির সময় যদি ফুটপাত ক্লিয়ার রাখা যায় তাহলে আমাদের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পরিদর্শক (ইপিজেড) নারায়ন বলেন, ‘প্রায় ফুটপাতের ওপরে গাড়ি রাখা থাকে। এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযানও চলে। তবুও গাড়ি রাখেন চালকরা। এ কারণে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটক ও মামলা দেয়া হয়েছে।