টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের কাজ থেকে বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড। যেখানে কক্সবাজারের স্থানীয়দের গত দুই বছর ধরে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ সেখানে রোহিঙ্গারা কিভাবে আইডি কার্ড পাই তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
অথচ উখিয়া-টেকনাফে স্থানীয়দের কাছে সরকার বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড বিতরণ না করলেও রোহিঙ্গাদের হাতে স্মার্টকার্ড কিভাবে আসে তা নিয়ে স্থানীয়দের কাছে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা গিয়ে ট্রামের সাথে দেখা করতে যাওয়া নিয়ে হয়েছে যত আলোচনা সমালোচনা।
গত কাল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদের কিশোরী কন্যার কর্ণছেদন অনুষ্টানে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ কোটি টাকা উপহার সামগ্রী নিয়ে যত আলোচনা ।
শনিবার ৩১ আগস্ট দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী পাহাড়ী এলাকা থেকে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ও আমান উল্লাহ নামে অপর একজন সহযোগীসহ আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানা জানি হয়। তবে তাঁকে আটকের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জাদীমুরাসহ পুরো এলাকা উত্তপ্ত হওয়ায় এতদিন ধামাচাপা ছিল কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের কিশোরী কন্যার জমকালো ‘কান ছেঁদা’ অনুষ্টানের চমকপ্রদ খবর।
জানাযাই, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর
মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারী চট্রগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড তৈরী করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজী। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম।
১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। রয়েছে একাধিক স্ত্রী।