এম এ সাত্তার, কক্সবাজারঃ
সারা পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত ৫/৬ দিন পুর্ব থেকে কক্সবাজারে কোন ধরনের পর্যটক না আসতে উৎসাহিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরপর থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। পর্যটকশূন্য সৈকত হয়ে উঠেছে সম্পূর্ণ কোলাহল ও দূষণমুক্ত।সোমবার সারা দিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো বিরল ডলফিন খেলা করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে দল বেঁধে সামুদ্রিক ডলফিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলি পয়েন্টে খেলা করছে বলে জানান অনেক প্রত্যক্ষদর্শী। একঝাক ডলফিন সাগরের কিনারায় এসে খেলা করতে দেখেছেন বলে প্রতিদিন সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া কয়েকজন জেলের সাথে কথা বলে সত্যতা পাওয়া যায়।
সুত্র জানায় ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরের নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছিল। কলাতলি সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই ডলফিন গুলো খেলা করতে দেখেছেন অনেকে। সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কারভাবে দেখাও গিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান সোমবার সকালে এক সার্ফার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং করতে গিয়ে ডলফিনের এই দলটি দেখতে পান। তিনি এই সময় ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন। সার্ফার দলটি উঠে যাওয়ার পরে ডলফিনের দলটি সৈকতের আরো কাছাকাছি এসে খেলতে থাকে। বিকেল ৩টার পরে ডলফিনের দলটি আর দেখা যায়নি। জালাল উদ্দিন নামের এক জেলে জানিয়েছেন, সকালে তিনি কলাতলি ও হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের একটি দল দেখতে পান। এই দলে বাচ্চা সহ ১০ থেকে ১২টি ডলফিন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান গত ৩ দশকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনো ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়নি। গত ৫ দিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জনশূন্য করে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে সৈকতের বুকে অগাধ বিতরণ, দূষণ নেই বললেই চলে। সৈকতের জনশূন্য পরিবেশ, দূষণ না থাকায় ডলফিন কোল ঘেঁষে এসে খেলা করছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।