কক্সবাজার কলাতলীর কটেজ জোনে ডিবি পুলিশের অভিযান: গ্রেফতার শতাধিক পতিতা, খদ্দের দালাল

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় লাইট হাউস এর আশেপাশে বেঙ্গের ছাতার মতো গড়ে ওঠা বিভিন্ন বাহারি নামের একাধিক কটেজে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় ডিবির ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়।

উক্ত অভিযানে আরো যারা ছিলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ইন্সপেক্টর এসএম আতিকুল্লাহ, ইন্সপেক্টর মানুষ বড়ুয়া, এসআই মাসুম খান, এসআই রাজীব কুমার সূত্রধর, এসআই জনি দেবদাস সহ সঙ্গীয় ফোর্স। অভিযানকালে ড্রীম রিসোর্ট , আল কাফি কটেজ, সাজ্জাদ কটেজ, নতুন সবুজ কটেজ, আমির ডিম কটেজ, সি ডাউন কটেজ, ঢাকার বাড়ি ১ কটেজ, ঢাকার বাড়ি-২ ও শারমিন কটেজ থেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে শতাধিক পতিতা ও খদ্দের আটক করা হয়।

আটককৃতদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, কলাতলী লাইট হাউজ পাড়া কটেজ জোন এলাকায় আবাসিক কটেজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে নারী নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে আসছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও পতিতাবৃত্তির ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই এর আগে পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু তারা দীর্ঘদিন কারাভোগের পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক ব্যবসায়। কটেজ জোন এলাকার একটি চক্র প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে সূত্র জানায়। ওই কুচক্রী মহল আর্থিকভাবে লাভবান হলেও দেশ সেরা এই পর্যটন নগরীর সুনাম ক্ষুন্ন সহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছিল।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী লাইট হাউজপাড়া কটেজজোন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কটেজ থেকে আটক করা হয় শতাধিক পতিতা, খদ্দের ও দালাল।

আটককৃতদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মাদক, পতিতাবৃত্তি, ছিনতাইকারী সহ সব ধরনের অপরাধ রোধে গোয়েন্দা শাখা অভিযান অব্যাহত রাখবে।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ইন্সপেক্টর মানষ বড়ুয়া জানান, আটককৃত পতিতা, দালাল ও খদ্দরের বিরুদ্ধে ডিবির পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর আতিক উল্লাহ ও এসআই রাজিব কুমার সুত্রধর বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়েরে করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশে কটেজগুলো থেকে আরো অন্তত অর্ধশতাধিক এই অবৈধ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা কৌশলে রংধনু কটেজ সড়ক দিয়ে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here