কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক তিন

চট্টগ্রাম ট্রিবিউন ডেক্সঃ
কক্সবাজারে এক লাখ ইয়াবাসহ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিন জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের আটক করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলো, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার মৃত আবদুল করিমের পুত্র, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ ফয়সাল প্রকাশ ফয়সাল আবদুল্লাহ (৩০), খুরুশ্কুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার মৃত ফজল মিয়ার পুত্র মোঃ ফিরোজ (৩২) ও একই এলাকার মৃত সোলতানের পুত্র মোঃ মোস্তাক আহমেদ লালু (৩৬)।

এই ঘটনায় আটক তিনজনসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বাদি হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

পরিদর্শক মানস বড়ুয়া জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহরে প্রবেশ ইয়াবার একটি বড় চালান। সোর্সের মাধ্যমে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পেরে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালান এবং জড়িতদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এই জন্য বেশ কয়েকদিন নানাভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়। সোর্স লাগিয়ে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় ওই ইয়াবা চালানের একটি খুরুশ্কুলের কুলিয়াপাড়ার মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ লালুর বাড়ীতে ভাগবাটোয়ারার খবর পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এই সংবাদ পেয়ে দ্রুত সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে খুরুশ্কুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার মৃত ফজল মিয়ার পুত্র মোঃ ফিরোজ (৩২) ও একই এলাকার মৃত সোলতানের পুত্র মোঃ মোস্তাক আহমেদ লালু (৩৬) আটক করতে সক্ষম ডিবি পুলিশ এবং মোস্তাক আহমেদ লালুর খাটের নিচ থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পরিদর্শক মানস বড়ুয়া আরো জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ ফিরোজ ও মোঃ মোস্তাক আহমেদ লালু স্বীকার করেন এই ইয়াবা চালানের সাথে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফয়সালসহ আরো বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পরে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফয়সালকে কক্সবাজার শহর থেকে থেকে আটক করা হয়।

আটক ফিরোজের বরাত দিয়ে মানস বড়ুয়া বলেন, মোঃ ফয়সালের সহযোগিতায় টেকপাড়ার মোঃ মিজান এই বিশাল ইয়াবা চালান বিক্রির চেষ্টা করছিলো। ফিরোজ আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে আনা এই ইয়াবা চালানের আরেকটি বড় অংশ মোঃ মিজান এবং আরেকটি বড় অংশ মোঃ শহিদ ও মোঃ বোরহানের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির বলেন, এক লাখ পিস ইয়াবাসহ তিন আটকের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহার মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here