কক্সবাজারে পর্যটককে ধর্ষণ চেস্টার ঘটনায় মামলা, জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের হিমছড়িতে এক অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।বিতর্কিত ওই কটেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে আলোচিত কটেজটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।

জানা যায়, মারমেইড বিচ রিসোর্টের মালিক আনিসুল হক সোহাগের বাড়ির ভেতরেই ওই কটেজটি অবস্থিত। তার মাদকাসক্ত ছোট ভাই শামিমুল হক স্যাম কটেজটি পরিচালনা করছিল।

এই কটেজে বিভিন্ন পার্টির নিয়মিত মদের আসরের আয়োজন করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই দেশি বিদেশি পর্যটকদের অননুমোদিত এই কটেজে রাখা হতো। কটেজ পরিচালনাকারী স্যামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোহা. শাজাহান আলি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কটেজটিতে অভিযান চালানো হয়েছে। কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। কক্সবাজারের সুনাম রয়েছে বিশ্বের সর্বত্র। এ অবস্থায় উক্ত আলোচিত কটেজে সম্প্রতি সংগঠিত হওয়া চাঞ্চল্যকর অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষনের চেষ্টা করার অভিযোগ খুবই দুঃখজনক। কক্সবাজারকে “পর্যটন রাজধানী” ঘোষনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকারি বিধি মেনেই, কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধির চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসা করতে হবে। কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোন কাজ কোন অবস্থাতেই কাউকে করতে দেওয়া হবেনা। কেউ পর্যটন শিল্পের কোথাও অনৈতিক কাজ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সৃষ্টি করতে চাইলে, পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চাইলে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here