বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

কক্সবাজারে অতিবৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট:

এম এ সাত্তার, কক্সবাজার:
কক্সবাজারে গত ২দিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

কক্সবাজারে আজও ১০১ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে সদরে ৫০ জন, টেকনাফে ১০ জন, উখিয়ায় ৭ জন, চকরিয়া ৯ জন, মহেশখালী ৪ জন, সাতকানিয়া ৩ জন, বান্দরবান ১৭ জন,রোহিঙ্গা ১ জন। একদিকে বৈশ্বিক করোনা মহামারি দুর্যোগে মানুষের করুণ দশা অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা সৃষ্টিতে ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অতি বর্ষনে পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। আবার পাহাড়ি এলাকার ঢলে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ককসবাজার পৌরসভার বাজারঘাটা প্রধান সড়কসহ অন্যান্য সড়কে পানির সাথে ময়লা আবর্জনায় ভরে গিয়ে ৩/৪ উঁচু হয়ে পানি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমানে চকরিয়ার খুটাখালি, পেকুয়ার কয়েকটি এলাকা ছাড়াও সদরের ঝিলংজা ইউনয়নের চান্দের পাড়া, মহুরি পাড়া, বৃহত্তর ঈদগাহ, ও রামুর গর্জনিয়া নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা ভারি বর্ষনে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সুমতি পাড়া নির্মাণাধীন ব্রীজ তলিয়ে গেছে।বিভিন্ন এলাকায় সড়ক উপসড়কের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।আবহাওয়া সুত্র জানায়, ককসবাজারে ৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বারি বর্ষনের কারনে কিছু পরিবার গত বুধবার দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নৌকা বা ভেলা ছাড়া এদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চকরিয়া, পেকুয়া ও রামু থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে ওই অঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের বীজতলা ও শাকসবজির খামার। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত