আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে ওয়াসার দফায় দফায় কাটাকাটি ও সংস্কারের পরে দু’দিন না পেরোতেই সড়কটির মোমিন রোডে মাথা তুলে দাঁড়ায় বড় ও মাঝারি আকারের গর্ত। ওইসব গর্তের স্থানে লাল কাপড় বেঁধে চলাচলরতদের সতর্ক করা হলেও সড়কের এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা চৌধুরী সাকিব এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে পুনরায় গর্তগুলো ঢালাই করে দিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যস্ত জামালখান সড়কে গভীর গর্ত খুঁড়েছে ওয়াসা ও বিটিসিএল। এসব গর্ত ভরাটের পর কমপক্ষে একমাস পর সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ করা উচিত। নয়তো ওই নির্দিষ্ট সময়ে সড়কটি পুনরায় দেবে গিয়ে ভেতরে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগেভাগেই কার্পেটিং করে দিতে হয় সড়ক। এত কার্পেটিংয়ের পরও দেবে যাচ্ছে সড়ক।
অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি, কিছুদিন আগে জামালখান এলাকার চেরাগী পাহাড় মোড়ে বেশ কয়েক দফা খোঁড়াখুঁড়ি করে যায় ওয়াসা এবং বিটিসিএল। এতে সড়কে বেহাল দশা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। সড়কের এ বেহাল দশা কাটাতে সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগই নেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের। শেষে যেনতেনভাবে সংস্কার হলেও দুদিন না পেরোতেই সড়কের ওই মোড়ে সৃষ্টি হয় গর্ত। ব্যস্ততম সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ওই গর্তে লাল কাপড় বেঁধে যায় কেউ। এতে দু্র্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচল করা সাধারণ পথচারীরা। ওয়াসা-বিটিসিএলের করে যাওয়া গর্ত ভরাট করা হয় বালু দিয়ে। গাড়ি চলাচলের ফলে মুহূর্তে দেবে যায় সড়ক।
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা চৌধুরী সাকিব বলেন, প্রতিদিনের মত সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন একটি গর্ত আমার চোখে পড়ে। দুই ঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখি আরেকটি গর্ত। তাই গণভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করি। জানি না কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বিষয়টি এসেছে কী না।চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা বলেন, ‘সড়কে সংস্কার কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপ আছে। যে ধাপগুলো পূর্ণ করতে নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু ব্যস্ততম সড়কে আমরা এই ধাপগুলো সম্পন্ন করার উপযুক্ত সময় আমরা পাই না। যার ফলে দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দেবে যাওয়ার পর আমরা সেগুলো পুনরায় ঠিক করে দিই।