টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
কে ভেবেছিল পাহাড় আর নদীর মাঝখানে এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা একটি গ্রাম হবে রঙিখালী। তিনি বলতেন রঙিখালী নই’কো তুমি রংগে ইলাহি শিক্ষা দীক্ষায় আলোকিত একটি গ্রাম আজও ঠিক আগের মতোই হার মানে অন্য গ্রাম। তবে এই সব কিছুর পিছনে ছিল এক পরশপাথরের মতো মানুষের ছোয়া। যার নাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে আছে সারাদেশ জুড়ে তিনি হচ্ছেন ড.গাজী কামরুল ইসলাম।
আলোকিত হয়েছিল আমাদের এই গ্রাম তার ছোয়ায়। ১৯৭৭ সালে যার হাতে গড়ে ওঠে রঙিখালী দারুল উলুম ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসা এবং ২০০১ সালে রঙিখালী খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মহিলা দাখিল মাদরাসা। যা দিয়ে এই গ্রামের মানুষ সভ্যতার খোজ পেতে শুরু করে। যা দিয়ে আজ আমাদের গ্রামকে নিয়ে গর্ব করার মতো অনেক তরুণ রয়েছে। কিন্তু দুঃখের ২০০৪ সালের দিকে আমাদের পরশ পাথরটি হারিয়ে যায় আমাদের থেকে যা আজও কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি ফেরাতে। সে সময়ের পর থেকে আমাদের গ্রামেরর মানুষ হয়ে ওঠে হিংস্র, বর্বর। যার কারণে বাইরের মানুষের কাছে আমরা অনেক কটু কথা শুনি। শুনতে হয় অনক খারাপ কিছু কথা। তবে তা আস্তে আস্তে কাঠিয়ে তোলার জন্য একদল তরুণ কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে আমরা ফকির হুজুরের গড়ে দেওয়া গ্রামটা ফিরে পায়। যাদের মনে স্বপ্ন সবকিছু বদলে দেয়ার, যারা স্বপ্ন বোনে প্রতিদিন কি করে গ্রামটা আবার আলোর পথে দাবিত হবে। তেমনই এক তরুণ দলের নাম রঙ্গীখালী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। যাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানব সেবা। যাতে গ্রামটা হয়ে ওঠে আদর্শ একটি গ্রাম। ঠিক তেমনই অন্য একটি কল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান রঙ্গীখালী স্টুডেন্ট ফোরাম। যা পরিচালিত হয় রঙ্গীখালীর উচ্চশিক্ষিত কিছু তরুণ কর্তৃক। এমন শত যুবকের স্বপ্নই পারে আমাদের গ্রামকে একটি আদর্শ গ্রামে পরিণত করতে। তাই কিছু তরুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রঙিখালী কে একটি আদর্শ গ্রামে পরিণত করতে।
লেখকঃ
নজরুল ইসলাম
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
রঙিখালী, টেকনাফ, কক্সবাজার।