মহিউদ্দিন মনজুর, আনোয়ারাঃ
আনোয়ারা উপজেলার ৪নং বটতলী ইউনিয়নের শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের পূর্ব পার্শ্বের পরিত্যক্ত হিলটপ পার্ক নামের এক পার্কে করা ঘরগুলোতে এখন ইয়াবা সেবনীয় আস্তানা ও পতিতালয় হিসেবে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলে পরিদর্শন করে এতে ইয়াবা সেবন এবং নোংরা কিছু আলামত পাওয়া যাই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যাই, বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের সীমানার ২০০ গজ দূরে অবস্থিত যা বিগত ১৫ বছর আগে বটতলী এলাকার জনৈক এক ব্যক্তি হিলটপ পার্ক নামের একটি গার্ডেন করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন,যখন তিনি জানতে পারেন যে পাহাড়গুলো চায়না ইকোনোমিক জোনের শিল্প কারখানার জন্য প্রস্তাবিত হয়ে গেছে,তখনি তিনি পার্কটি পরিত্যক্ত রেখে ইকোনোমিক জোনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা যাই।
পার্কটিতে পরিত্যক্ত অবস্থায়ত্ত ২/৩ টি বিল্ডিং এবং কয়েকটি ছেমিপাকা ঘর দেখা যাই।যেখানে ইয়াবা সেবনকারীদের বিভিন্ন সেবনের আলামত পাওয়া এবং কয়েকটি ঘরে ভিতরে তালাবন্ধ দেখা যাই।
চায়না ইকোনোমিক জোন থেকে দেওয়া পাহারাদার মোঃ ছালেহ আহমেদ এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি বিগত আনোয়ারা উপজেলার সাবেক ইউএনও গৌতম বাড়ে মহোয়কে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম,তিনি কিছু লিফলেট লাগানোর জন্য আমাকে দিলে আমি তা যেদিন লাগাই সেদিন মাদকসেবীরা ছিঁড়ে ফেলেন,তাদেরকে কখনো বাধাঁ প্রদান করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি তো আর তাদের ৮/১০ জন লোকের সাথে পারবোনা তাই বাধ্য হয়ে চুপ থেকে সয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
এ ব্যাপারে শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি আগেও শুনেছি হিলটপ পার্কে কিছু অসাধু মাদকসেবী পরিত্যক্ত ঘরগুলোকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে, তবে আমার কলেজের কোন ছাত্র/ছাত্রী এখানে যেন না যান তার জন্য আমাদের কঠোর নিষেধ রয়েছে, আশা করি এ বিষয়ে প্রশাসন কোন উদ্দোগ নিলে এলাকার তরুণ যুবক ও তাদের মা বাবার ভবিষ্যৎকাল সুন্দর এবং স্বার্থক হবে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ দ্রুত
ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
আনোয়ারা থানার সেকেন্ড অফিসার(তদন্ত) মোঃ দিদারুল ইসলাম সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরিত্যক্ত হিলটপ পার্কে অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীদের গ্রেফতারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত দেন।