নিজস্ব সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ট্রিবিউন:
আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর এবং জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মৌসুমে শেষ সময়ে হলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।দেখা মিলছে ঝাকে ঝাকে ইলিশ মাছ।এবং এতে লাভের আশা বুনছেন জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
২০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বোট থেকে ইলিশ নামাচ্ছেন জেলেরা,দুই বা তিনদিন সাগরে থেকে ১০ থেকে ১২ মণ ইলিশ মাছ শিকার করে নিয়ে এসেছেন বলে জানান তারা।
রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া ঈদগাহ ঘাট থেকে শুরু করে পরুয়াপাড়া পিছের মাথা,ছত্তার মাঝির ঘাট,ছমদ মেম্বার ঘাট,গলাকাটার ঘাট,ছিপাতলী ঘাট,দোভাষীর ঘাট,উঠান মাঝির ঘাট,বাইগ্যেরো ঘাট,বার আউলিয়া ঘাট,জেলে পাড়া ঘাট,ফকির হাট,ঘাটকুল,জুঁইদন্ডী শংখ নদীর তীরে ইত্যাদির সবখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ শিকার করে বিক্রি উদ্দেশ্যে প্যাকেট করতে ব্যস্ত তারা।
এই ইলিশগুলো চট্টগ্রাম ফিসারিঘাট থেকে শুরু করে ঢাকার ধনিয়া,যাত্রা বাড়ি,ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয় বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়িরা।তবে বিগত সময়ে ইলিশের তেমন খুঁজ মিলেনি বলে জানান বহদ্দারগণ।
তারা জানান,আগের তুলনায় এই বছর ইলিশ তেমন পাওয়া যাইনি।এ বছর আমাদের অনেক টাকা লোকসান হয়েছে,তবে এবারে যদি মাছ বেশি পাওয়া যায় তাহলে আমাদের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারে বলে আশা করতে পারি।
গহিরা উঠান মাঝির ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ নাছির জানান,প্রথম থেকে ইলিশ মাছের খুঁজ মিলেনি,আর এবারে আমাদের সাগরের ফাড়(জায়গা) নিয়ে অনেক ঝামেলা এবং জাল বসানো নিয়ে মারমারি ইত্যাদিসহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল,যার কারণে জেলেদের মাছ শিকারে অনেক হিমসিম খেতে হয়েছে।আশা করি এগুলো কাটিয়ে শেষ সময়ে হলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করতে পারি।