আকরবশাহ এলাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল নিরাপত্তা কর্মীর

আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ
চট্রগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার ইস্পাহানি গোলপাহাড় এলাকায় জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশিদ নামে ষাটোর্ধ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হারুন বরিশালের হাসিমপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলি খানের ছেলে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইস্পাহানি সি গেইটের গোলপাহাড় এলাকায় থাকতেন।

আহত হওয়ার চার ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হারুন মারা যায়।নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) ফারুক উল হক জানান, বিকেল (শনিবার) তিনটার সময় হারুনের ছেলের সাথে প্রতিবেশী আরেক ছেলের মারামারি হয়। ছেলেদের মারামারি ছাড়াতে গেলে প্রতিপক্ষের এক ছেলে হারুনকে ছুরিকাঘাত করে। এতে কপালের একপাশে আঘাত পান তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি বাড়িতেই ছিলেন।

বিকেল পাঁচটার দিকে শরীরে খারাপ লাগলে হারুনকে পরিবারের সদস্যরা চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি মারা যান।চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, বিকেল পাঁচটার সময় হারুনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার সময় তিনি মারা যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, গোলপাহাড় এলাকার পাহাড়ি জমি দখল-বেদখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। মুলতঃ জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে সংঘটিত মারামারিতে আহত হয়ে হারুন মারা যায়।

যোগাযোগ করা হলে নিহত হারুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার বাবা নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। ইস্পাহানি সি গেইটের গোলপাহাড় এলাকায় নিজস্ব জমিতে তাদের ঘর রয়েছে। জায়গা-জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী ইমরানদের বেশ কিছুদিন ধরে তাদের ঝামেলা চলছিল।

এ ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার বিকেল তিনটার দিকে এমরানদের সাথে মারামারি হয়। এ সময় ঝগড়া থামাতে গেলে এমরান তার তার বাবাকে (হারুনকে) ছুরিকাঘাত করে। তাকে প্রাথমিক স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে বিকেল পাঁচটার সময় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার সময় চমেক হাসপাতালে তিনি মারা যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here