নিজস্ব প্রতিবেদক,
গত ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিকল্পিত বার্তা, আলোকিত উখিয়া, ক্রাইম বিডি নামে ফেসবুক আইডি’তে
“আদম ব্যবসায়ী জসিম-হারুনের ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিদেশগামী যুবকরা’’ উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মোঃ জসিম ও হারুন অর রশিদ।
গত ২/১ দিনের ব্যবধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিকল্পিত বার্তা, আলোকিত উখিয়া ক্রাইম বিডিতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন,”আদম ব্যবসায়ী জসিম-হারুনের ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিদেশগামী যুবকরা’’ মর্মে মোঃ মোরশেদ প্রকাশ বাদশা’র বরাতে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও একটি চিহ্নিত চাঁদাবাজ গ্রুপের সাজানো নাটক।
হারুন বলেন, সে একজন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি। সে হিসেবে এলাকার যে কারো আপদ বিপদে ডাক পাওয়ার সাথে সাথে আগাইয়া গিয়ে যে কোন মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। তদুপরি সে এলাকার একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি হিসাবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
যে ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনার মুলে যে লোকটি (বাদশা) রয়েছে সে সম্পর্কে থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার সাধারণ মানুষ তার সম্পর্কে অধিক জানা শুনা রয়েছে। যে কেউ তার ব্যাপারে আরো অধিকতর জানতে ইচ্ছা করলে স্থানীয় যে কোনো কারো সাথে যোগাযোগ করলে জানা যাবে। বলতে গেলে সে (বাদশা) একজন প্রকৃত অপরাধ জগতের লোক বা সদস্য।
এই রকম একজন ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে যাচাই বাছাই না করে এই প্রজাতন্ত্রের যে কোন নাগরিক বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যারা যা তা লিখে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তারা হইতো মানুষিক বিকারগ্রস্ত লোক। আর যে ব্যাক্তির কর্ম ছিলো নিত্য অপরাধ। আধা ডজন মামলার ফেরারি আসামি, এরকম একজন দাগী অপরাধি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গত ৭/৮ বছর আগে কাতারে গিয়ে প্রায় ৪/৫ বছরের অধিক সময় ধরে একপ্রকার বিলাসি জীবন যাপন করছিল।তার সাথে কাতারের স্থানীয় বখাটেদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে চলাফেরা করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছিল। একদিন ক্লাবের মধ্যে মদ পান করা অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সে দেশে আসার পর পরই তার গ্রুপের সাথে সক্রিয় হয়ে উঠে। তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দিলে মারবে কাটবে এবং পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বলে নিজে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল। নিজের কৃতকর্মের দ্বারা নিজে বলি হয়ে দেশে এসেছেন এমন একজন দুধর্ষ ব্যক্তির পক্ষ থেকে মিডিয়ায় মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা দেশের প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের লংঘন।
হারুন বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ত্রাস বাদশা একজন আগ্নেয়াস্ত্রধারী পেশাদার ডাকাত, সে আমাদের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা রটায়ে ভীতসন্ত্রস্ত রেখে চাঁদা আদায় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এলাকার নেতৃত্বস্থানীয় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সে যা বলে বেরাচ্ছে এসবের কোন কিছুতেই আমাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না; নেই। আমি সামাজিক ভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বসবাসে বিশ্বাসী। মূলত আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করা হচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, চাঁদা না পেয়ে আমাদেরকে অবৈধ অস্ত্রের ভয়ের মধ্যে রেখে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার হীন উদ্দেশে সাংবাদিক লেলিয়ে দিয়ে “আদম ব্যবসায়ী আখ্যা” দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বেকায়দায় ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ।
হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এ ধরনের আইন, মানবাধিকার লংঘনকারী কার্যক্রম ও মিথ্যাচার বন্ধ করতে এবং সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে সংশ্লিষ্ট গনমাধ্যমগুলোর প্রতি আহবান জানান।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় মোঃ জসিম ও হারুন অর রশিদ বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্যে ভরপুর ও প্রতিবেদকের উদ্ভট চিন্তারই বহিঃপ্রকাশ। তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
হারুন’রা বলেন, প্রতিবেদনে ‘ মানব পাচারকারী আখ্যা দিয়ে যে তথ্য সংযোজন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের উদ্ভট তথ্য সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রতিবেদকের জ্ঞানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
“জসিম কাতার থেকে এক ব্যবসায়ীর বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশে চলে এসেছে”এটা তারা কোন রেফারেন্সে মাধ্যমে জেনে নিউজ করেছে তা বোধগম্য নয়। এই বক্তব্যও প্রতিবেদকের উদ্ভট কল্পনা।এই রকম গর্হিত কাজে তাদের কোন ইন্টেরেস্টিং নেই বা ছিল না।
হারুন বলেন, আমার ভাই, ভাই পুত্ররা বৈধ ভিসা নিয়ে বাইরের দেশে চাকরি করে আসছে। আমরা কোন আদম ব্যবসায়ী নয়। প্রতিবেদনে আমাদেরকে জড়িয়ে আদম ব্যবসায়ী উল্লেখ হাস্যকর। প্রতিবেদনটি যে সম্পূর্ণ বানানো এর প্রমাণ হচ্ছে, সংবাদে যে লোকগুলি প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এরকম কয়েক ব্যক্তির নাম নিউজের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
পুরো প্রতিবেদনটি একটি আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। প্রতিবেদক আমাদেরকে জড়িয়ে প্রতিবেদন লিখলেও ফেরারি আসামি বাদশা ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির কোন বক্তব্যই এখানে যুক্ত করেননি, যা একপ্রকার পক্ষপাতদুষ্ট মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। তাই তারা সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা না করে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।